🕌 রুকইয়াহ শরঈয়াহ – ধাপে ধাপে করণীয়
নিয়ত ও আকীদা দৃঢ় করা
মনে দৃঢ় বিশ্বাস রাখুন: আরোগ্য শুধু আল্লহর হাতে।
কোনো তাবিজ, কবচ, পীরের ধোঁয়া, ঝাড়ফুঁক—এসব ব্যবহার করা যাবে না।
ওযু করে পরিষ্কার হয়ে নেয়া
রুকইয়াহর আগে ওযু করুন।
সম্ভব হলে সুন্নাহ অনুযায়ী ২ রাকাআত নফল সলাত আদায় করুন।
কুরআন তিলাওয়াত করে ফুঁ দেওয়া
আপনি বা অন্য কেউ রোগীর জন্য নিচের আয়াতগুলো পড়বেনঃ
- সূরহ্ ফাতিহা – ৭ বার
- আয়াতুল কুরসী – ৩ বার
- সূরহ্ বাকারা ২৮৫-২৮৬ (শেষ দুই আয়াত) – ১ বার
- সূরহ্ আল-ইখলাস, আল-ফালাক, আন-নাস – প্রত্যেকটি ৩ বার
প্রতিবার পড়া শেষে হাতে ফুঁ দিন এবং রোগীর মাথা, বুক বা শরীরের ওপর মাসাহ করুন।
পানি / অলিভ অয়েল ব্যবহার
একটি বোতল পানিতে উপরোক্ত আয়াতগুলো পড়ে ফুঁ দিন। রোগী প্রতিদিন কিছুটা পান করবে।
একই পানি দিয়ে সপ্তাহে ২–৩ বার গোসল করবে।
অলিভ অয়েল বা কালোজিরার তেল: পড়া শেষে তেলের ওপর ফুঁ দিন। রাতের ঘুমের আগে শরীরে (বিশেষত মাথা, বুক, পিঠে) লাগান।
দৈনিক যিকির, রোগীর করণীয় ও নববী চিকিৎসা
- বিসমিল্লাহিল্লাযি লা ইয়াদুররু… – ৩ বার
- আয়াতুল কুরসী – সকাল–সন্ধ্যা ১ বার
- সূরহ্ ইখলাস, ফালাক, নাস – সকাল–সন্ধ্যা ৩ বার
- ফরজ সলাত সময়মতো আদায় করা।
- রাতে শোয়ার আগে আয়াতুল কুরসী, সূরহ্ ইখলাস, ফালাক, নাস পড়ে ফুঁ দিয়ে শরীরে মাসাহ করা।
- বাড়িতে নিয়মিত সূরহ্ বাকারা পাঠ করা (সপ্তাহে অন্তত ১ বার)।
- প্রতিদিন ১ চামচ কালোজিরা (খেজুর বা মধুর সাথে) খাওয়া।
- খাঁটি মধু সকালে খালি পেটে পান করা।
- সম্ভব হলে যামযাম পানি রুকইয়াহ করে পান করা।
যেসব থেকে বিরত থাকতে হবে:
- ❌ তাবিজ-কবচ, শিরকী ঝাড়ফুঁক
- ❌ কবর–পীরের মানত
- ❌ অশুদ্ধ তান্ত্রিক পদ্ধতি
✅ সারাংশ:
এই পুরো রুকইয়াহ প্রক্রিয়া অন্তত ৭–২১ দিন নিয়মিত চালিয়ে যান। আল্লহর ইচ্ছায় ধীরে ধীরে প্রভাব কমে যাবে।