রমাদান: দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ ট্রেনিং ও অনন্ত জীবনের প্রস্তুতি
কুরআন, সহীহ হাদিস ও সৌদি ফতোয়ার আলোকে
﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ…﴾
রমাদান হলো আত্মসংযম, ধৈর্য, ও আত্মশুদ্ধির এক মহান প্রশিক্ষণ, যা দুনিয়ার জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করে ও আখিরাতের সফলতার প্রস্তুতি দেয়।
“যে ব্যক্তি রমাদানে বিশ্বাস ও আখিরাতের আশা নিয়ে রোজা রাখে, তার পূর্বের গুনাহ ক্ষমা হয়ে যায়।”
এটি দুনিয়ায় আত্মনিয়ন্ত্রণ শেখায়, মনের উন্নতি ঘটায়, আর আখিরাতে মুক্তির পথ সুগম করে।
﴿لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ﴾
এই রাতের ইবাদত এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।
রমাদানের শেষ দশকে একাধিক রাতের সম্ভাবনা, তাই ইতিকাফে থেকে বেশি ইবাদত করাই শ্রেয়।
﴿اللَّهُ يُرِيدُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلا يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ﴾
রমাদানের ফরজ করা হয়েছে যাতে আমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারি। আল্লহ তায়ালা আমাদের জন্য সহজ করেছেন এই বিধান, কঠিন নয়।
“যে ব্যক্তি রোজা রাখে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”
- সকালে সেহেরি খাওয়া ও দোয়া পড়া (নবী ﷺ এর সুন্নাহ)
- দুপুর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজা পালন (খাদ্য, পান, ও যৌনতা ত্যাগ)
- মুমিনের সাথে সৌহার্দ্য ও সহানুভূতি বৃদ্ধি
- সুন্নাহ সলাত, তেলাওয়াত ও দোয়া তাওয়াবা পালন
- গীবত, মিথ্যা, গোঁফের অপব্যবহার ত্যাগ
- সাহরি ও ইফতারের মধ্যে আল্লহর নাম স্মরণ ও ধৈর্য রাখা
রমাদান শুধুমাত্র রোজা নয়, এটি আত্মসংযম, নিয়ন্ত্রণ, ও ইবাদতের প্রশিক্ষণ। এই মাসে শেখা নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত করতে হবে বাকি বছর।
- দায়িত্বশীলতা ও নিয়মানুবর্তিতা বৃদ্ধি
- খাওয়ার পরিমাণ ও অকারণে কথা বলায় নিয়ন্ত্রণ
- ইবাদত, সদকা ও নফল চলমান রাখা
- মনুষ্যত্ব ও ধৈর্যের পরিচয় বহন
এভাবেই রমাদান হয়ে ওঠে সম্পূর্ণ বছরের জন্য মানসিক ও আত্মিক গাইড।
রাসূল ﷺ রমাদানের শেষ দশকে ইতিকাফ করেন — মসজিদে নিবিষ্ট থেকে অধিক ইবাদত, দোয়া, তিলাওয়াত করা।
“ইতিকাফের সময় একজন মু’মিন আল্লহর নৈকট্য লাভ করে।”
এই দশকে বেশি ইবাদত ও লাইলাতুল কদরের সন্ধান মহান নেকির চাবিকাঠি।
উপসংহার:
রমাদান দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণ। আল্লহ আমাদের সবাইকে এই ট্রেনিংয়ে সফলতা দান করুন যেন আমরা জীবনের সব মাসগুলো আল্লহর সন্তুষ্টির মাধ্যমে কাটাতে পারি। আমীন।