ঈমান: স্বচ্ছ ধারণা ও সুন্নাতি রূপরেখা
কুরআন, সহীহ হাদীস ও সালাফদের ব্যাখ্যার আলোকে
ইমাম ইবনে তাইমিয়াহ্ (রহ.): ঈমান হলো হৃদয়ের বিশ্বাস, মুখের স্বীকৃতি ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের আমল।
﴿إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللَّهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ…﴾
হাদীস: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
❝ ঈমান ৭০-টিরও বেশি শাখা বিশিষ্ট, সর্বোচ্চ: ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লহ্, সর্বনিম্ন: রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস সরানো ❞
- ১. অন্তরের আমল: আল্লহর ভয়, তাঁর উপর ভরসা, তাকওয়া, ইখলাস
- ২. মুখের আমল: শাহাদাহ বলা, কুরআন তিলাওয়াত, দাওয়াহ, ভালো কথা
- ৩. অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল: সলাত, সিয়াম, যাকাত, হজ্জ, রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরানো
- তাওহীদের বিশুদ্ধ জ্ঞান: শিরক ও বিদআতের থেকে বিরত থাকা
- কুরআন অধ্যয়ন ও আমল: নিয়মিত তিলাওয়াত ও অর্থ বোঝা
- নবী স. এর সুন্নাহ মেনে চলা: হাদীস অনুযায়ী আমল করা
- সৎ সঙ্গ গ্রহণ: ঈমানদারদের সাথে সময় কাটানো
- দুনিয়ার মোহ কমানো: আখিরাতকেই অগ্রাধিকার দেয়া
- নিয়মিত দোয়া: নবী স. এর দোয়া: “اللهم ثبت قلبي على دينك”
- নিয়মিত আত্মসমালোচনা: “আজকে আমার ঈমান বাড়লো না কমলো?”
- আল্লহকে বেশি করে স্মরণ: সলাত, জিকির, তাসবীহ
- নিয়মিত সদকা ও গোপনে ভালো কাজ: যা শুধু আল্লহ জানেন
- পরিবারকে ইসলামের পথে উৎসাহ: “قوا أنفسكم وأهليكم نارًا” — সূরহ্ তাহরিম
- শিক্ষা ও আমলের ভারসাম্য: জানা ও তা অনুসারে আমল করা
উপসংহার:
ঈমান মানুষের জীবনকে বদলে দিতে সক্ষম। এটি কেবল মুখের কথা নয়, বরং অন্তর থেকে বাহ্যিক কাজের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সুন্নাহ্ মোতাবেক জীবন গঠনই ঈমানদারত্বের পথ।
হে আল্লহ! আমাদের ঈমানের উপর দৃঢ় রাখুন, মৃত্যুকালেও ঈমানের সাথে রাখুন। আমীন।